বলা যায়, সৌভাগ্যবশত ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা একটা বই আমার হাতে পড়ে।
বইটির নাম ‘নোবেল সাহিত্য পুরস্কার ১৯০১-২০১১’, প্রকাশক আগামী প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা। ঢাকার বই আমরা বেশি একটা পাই না। যেগুলি পাই সেগুলি খ্যাতিমান লেখকের কিন্তু মানসম্মত নয়। সাধারণত বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকদের লেখা মানস্মত হয় না। এটি আমার ধারণা। ভিন্নমত থাকতে পারে।বাংলাদেশের অধিকাংশ খ্যাতিমান লেখক কুম্ভীলক নামে পরিচিত। যাই হোক, ড. মোহাম্মদ আমীনের এই বইটি পড়ে আমি অভিভূত হলাম। অভিভূত হলাম এই কারণে যে, তিনি এখানে এমন কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা বাংলা ভাষায় লেখা অন্য কোনো বইয়ে আমি পাইনি। অধিকন্তু ১৯০১ থেকে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যেসব লেখক, সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন, তাদের সাহিত্যকর্ম-সহ নানা বিষয়ে বৈচিত্র্যম বর্ণনা বইটিতে রয়েছে। মুগ্ধ হয়ে আমি লেখক ড. মোহাম্মদ আমীনকে একটা পত্র দিয়েছিলাম । এরপর হতের তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আস্তে আস্তে যা বন্ধুত্বে গড়ায়।
মাস কয়েক আগে জানতে পারলাম, ড. মোহাম্মদ আমীন বইটিকে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করে ‘নোবেল সাহিত্য পুরস্কার ১৯০১-২০১৭’ নামের একটি পাণ্ডুলিপি তৈরি
ড. মোহাম্মদ আমীন |
লেখকের কাছ থেকে জানতে পারি বইটি এবার আগামী প্রকাশনী থেকে নয়, বাংলাদেশের শিখা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হচ্ছে এবং অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিখা প্রকাশনীর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।
লেখক পরিচিতি : শিক্ষাবিদ, গবেষক। ভারতীয় বংশোদ্ভুদ ব্রিটিশ।
No comments:
Post a Comment