অলৌকিক শিশু ড. মোহাম্মদ আমীনের লেখা একটি শিশুকিশোর উপন্যাস। বইটির প্রকাশক পুথিনিলয়,বাংলাবাজার, ঢাকা। বইটি পড়লে পাঠকের মন সহজে আর্দ্র হয়ে যাবে পরোপকারের ইচ্ছায়। শিশুকিশোরের মনে এমন বোধ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যজীবনে সেই শিশুকিশোর গড়ে উঠতে পারে আদর্শ মানুষ হিসেবে। এবার দেখুন কী আছে বইটিতে- মেথরের শিশুসন্তান গোপাল পিতৃহীন। মা প্রভাতি সেরাজুল হক সাহেবের বাড়ির মেথর। গাড়িতে চাপা পড়ার ভয়ে প্রভাতি গোপালকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে কাজ করেন। প্রচ- শীতে গোপাল চিৎকার করে কাঁদে। সেরাজুল হক সাহেবের বাড়ির গৃহশিক্ষক গোপালের দুরবস্থা দেখে মর্মাহত হন। তিনি গোপালকে শিকলমুক্ত নিজের রুমে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে প্রভাতি যতক্ষণ মেথরের কাজ করতেন গোপাল ততক্ষণ গৃহশিক্ষকের রুমে থাকত। গৃহশিক্ষক, গোপালকে পড়াতে শুরু করেন। কয়েক মাসের মধ্যে বোঝা যায় গোপাল অত্যন্ত মেধাবী। গৃহশিক্ষক নিজ উদ্যোগে গোপালকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন। নিজের প্রচ- অভাব সত্ত্বেও গোপালের যাবতীয় খরচ বহন করে যেতে থাকেন। গোপাল পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পায়। সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর গৃহশিক্ষক সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। কয়েক মাস গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। ষোল বছর পর জানতে পারেন, গোপাল অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল। এসএসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায়ও স্ট্যান্ড করেছিল। বর্তমানে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞানের প্রফেসর। মেথরের ছেলে গোপাল কীভাবে প্রফেসর হলো তাই এই উপন্যাসের আলেখ্য।
Wednesday 6 March 2019
অলৌকিক শিশু / প্রমিতা দাশ লাবণী।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment